আপোষহীন সংগ্রামী নেতা ও বাঁশের কেল্লা

ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হয়। ইতিহাস ঘটনার পরাক্রমা এবং তার থেকে শিক্ষনীয় বিষয় তুলে ধরে। কিন্তু ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমির স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যারা আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখ ছিলেন তারাই সবচেয়ে বেশি আগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। তাদের
সাহসী, আপোষহীন, নির্ভীক ও সৎ নেতৃত্বের কারণেই হয়তো আজ আমরা আমাদের স্বকীয়তা ও ঐতিহ্য নিয়ে সগর্বে পরিচয় দিতে পারছি। তারা স্বাধীকার আন্দোলন ও প্রতিরোধ সংগ্রামে অগ্রণী না হলে আজও হয়তো আমাদেরকে ইংরেজদের গোলামী করতে হতো। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, বৃটিশ ইংরেজ আর হিন্দু জমিদারদের গোলামীর জিঞ্জিরকো বিদ্রোহের আগুনের তাপদাহে ছারখার করে সাধারণ জনগণের অধীকার আদায়ে যারা নিজেদের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মাওলানা সাইয়েদ মীর নিসার আলী তীতুমীর। প্রতি বছর নবেম্বর মাসের ১৯ তারিখ এই দেশ প্রেমিক বীরের শাহাদত দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা, সেমিনার ইত্যাদির আয়োজন করা হয়।

এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, পলাশী প্রান্তরে মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা আর ইংরেজদের কূটকৌশলের কারণে, পরাজয়ের পর ভারতবাসীর অবস্থা দ্রুত অবনতির দিকে ধাবিত হয়। সিপাহী বিদ্রোহের পর মুসলমানদের অবস্থার আরো অবনতির দিকে যেতে থাকে। একদিকে মুসলমান বৃটিশ-ইংরেজ শাসন না মানা এবং তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া অপরদিকে হিন্দুরা ইংরেজ শাসন মানা ও তাদের সাথে আপোষ করায় মুসলমানরা সকল দিক থেকে বঞ্চিত হয় আর হিন্দুরা এগিয়ে যায়। ১৮৫২ সাল থেকে ১৮৬৮ সালের মধ্যে ২৪০ জন ভারতীয়কে চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়। এদের মধ্যে হিন্দু ছিল ২৩৯ জন আর মুসলমান ছিল মাত্র ১ জন। এরূপ অবস্থায় মুসলমানদের জীবন যখন সর্বদিক দিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসার উপক্রম হয় তখন এদেশের আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখগণ ভারতীয় জনগণকে একত্রিত করে স্বাধীকার আন্দোলন আবার কোথাও কোথাও প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে। ফকীর বিদ্রোহ, তীতুমীরের বিদ্রোহ, সীমান্তের জেহাদ প্রভৃতি এগুলোই নিদর্শন। সাইয়েদ মীর নিসার আলী তীতুমীর ১৭৮২ সালে চবিবশ পরগণার বসিরহাট থানার অন্তর্গত চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মীর হাসান আলী এবং মাতার নাম আবেদা রোকাইয়া খাতুন। কথিত আছে যে, তিক্ত ওষুদের প্রতি তাঁর আসক্তি ছিল বলে তাকে তিতামিঞা ডাকা হতো। এই তিতামিয়াই পরবর্তীকালে বাংলার গৌরব তীতুমীর নামে পরিচিত হন। তীতুমীরের পূর্বপুরুষরা ছিলেন হযরত আলী (রা.) এর বংশধর। তারা ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে আরবদেশ হতে বঙ্গদেশে আগমন করেছিলেন। বঙ্গদেশে আগত তার পূর্ব-পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ছিলেন সাইয়েদ শাহাদাত আলী। তারপুত্র সাইয়েদ আব্দুল্লাহ দিল্লীর শাহী দরবার কর্তৃক জাফরপুরের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়ে মীর ইনসাফ উপাধিতে ভূষিত হন। সে সময় হতে শাহাদাত আলীর বংশধরেরা মীর সাইয়েদ উভয় উপাধি ব্যবহার করতেন। 


স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান তীতুমীর তদানীন্তন সময়ে প্রচলিত সকল শিক্ষা অর্জনের সাথে সাথে আধ্যাত্মিক শিক্ষাও লাভ করেন। শৈশবেই তিনি হাজী নিয়ামত উল্লাহর কাছ থেকে কুরআন, হাদীস, আরবী ও ফার্সী ভাষা শিক্ষা লাভ করেন। শরীর চর্চা, তরবারী ও লাঠি চালানো ইত্যাদিতেও তিনি পারদর্শিতা অর্জন করেন। কলকাতার সমসাময়িক কালে কয়েকজন খ্যাতনামা পাহলোয়ান আরীফ, আলী, মীর লাল মুহাম্মদ প্রমুখকে পরাজিত করেন একজন বিখ্যাত পাহলোয়ানরূপে পরিচিত হয়েছিলেন। ১৮২২ সালে হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে তিনি মক্কা শরীফে গমন করেন। সেখানে বিপ্লবী আন্দোলনের নেতা সাইয়েদ আহমদ ব্রেলভীর সাথে সাক্ষাৎ হয় এবং তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করে আন্দোলন পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তীতুমীর ছিলেন সাইয়েদ আহমদ ব্রেলভীর তরীকায়ে মুহাম্মাদিয়া আন্দোলনের বাংলাদেশ শাখার প্রধান। 


দেশে ফিরে তীতুমীর হায়দারপুরে বসতি স্থাপন করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাজসংস্কারের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি ইসলাম ধর্মে যে সব অনাচার প্রবেশ করেছিল তা দূর করার মানসে যাবতীয় পৌত্তলিকতা, যেমন: মূর্তি বা মাজার পূজা, পীর-দরবেশের উপর আস্থাশীল হওয়া, মৃত্যুর পর শ্রাদ্ধ বা শান্তির অনুষ্ঠান করা ইত্যাদি সম্পূর্নরূপে নিষিদ্ধ করে দিলেন। এছাড়া ইসলামী অর্থপূর্ণ নাম রাখা, দাড়ি রাখা, গোঁফ কামানো, ধুতি না পরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নৃত্যগীত না করা, নামাজ পড়া, রোযা ও জুমার নামাজ আদায় করতে তিনি জনগণকে নসিহত করতেন। তিনি বলতেন : ‘‘মুসলমানদেরকে কথায় ও কাজে, আচার ব্যবহারে পুরোপুরি মুসলমান হতে হবে এবং সবল দুর্বলের উপর অত্যচার করলে মজলুমের সাহায্য করতে হবে যা ধর্মীয় কর্তব্য।’’ চবিবশ পরগনা ও নদীয়া জেলার বহু কৃষক জনতা তীতুমীরের সংস্কার আন্দোলনে সাড়া দেয়। তার তিন ছেলে ও সুদক্ষ রণকুশলী ভাগিনা গোলাম মাসুমের নেতৃত্বে একটি দক্ষ সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলে। কয়েকটি ভাগে ভাগ করে তার বাহিনীকে সর্দারের অধীনে একদল অস্ত্র পরিচালনাকারিও লাঠিয়াল নিয়োজিত করা হয়।


তৎকালিন জমিদার কৃষ্ণদেব রায় তীতুমীরের প্রতিরোধ আন্দোলন কোন মতেই মেনে নিতে পারেন নি। তাই সে খাজনা আদায় ও শোষণের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে। তার ঘোষণায় ছিল ঃ


১। কোন কৃষক দাড়ি রাখলে অথবা গোঁফ কমিয়ে রাখেলে জমিদারকে আড়াই টাকা হারে কর দিতে হবে।
২। কোন প্রজা বাড়ির ভিতরে অথবা সংলগ্ন স্থানে পাকা সমজিদ নির্মাণ করলে ১০০০ টাকা কর দিতে হবে।
৩। কোন প্রজা কাঁচা মসজিদ নির্মাণ করলে পাঁচশত টাকা কর দিতে হবে। 
৪। কোন মুসলমান পিতা-মাতার দেয়া নাম পরিবর্তন করে অথবা সন্তানের নাম ইসলামিক বা আরবী রাখলে কর দিতে হবে ৫০ টাকা।
৫। কোন প্রজা তার বাড়িতে তীতুমীরকে আশ্রয় বা স্থান দিলে তাকে ভিটে থেকে উচ্ছেদ করা হবে।


এভাবে প্রজাদের মাঝে বিভেদের আগুন জ্বালিয়ে দেয় রাজা কৃষ্ণদেব। তীতুমীর এসকল কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ লিপি কৃষ্ণদেবের কাছে প্রেরণ করে অন্যায় কর প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। আমানুল্লাহ নামক প্রত্রবাহক কৃষ্ণদেবের কাছে পৌঁছলে সে চরম রাগান্মিত হয়ে আমানুল্লাহকে হত্যা করে। এ সংবাদ শুনে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয় এবং তীতুমির এর এলাকার জনগণকে নিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং এ কর প্রদানে নিষেধ করেন। 

সরফরাজপুরে ধ্বংসপ্রায় মসজিদটি মেরামত করে তিতুমীর তার কার্যক্রম চালাতে থাকলে কৃষ্ণদেব নিজেই বরকন্দাজ ও লাঠিয়াল তীরন্দাজদের এক বিরাট বাহিনী নিয়ে হামলা করে নামাযরত অবস্থায় দু'জনকে শহীদ করে আর অসংখ্য মুসল্লিকে আহত করে। তারা মসজিদ ও মুসলমানদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। কৃষ্ণদেব ঘটনার পরপরই কলকাতা পালিয়ে গিয়ে হিন্দু ও ইংরেজদের সহায়তায় কিছু দিন পরে ফিরে আসে। তিতুমীরের নেতৃত্ব মুসলমানরা নিকটবর্তী কলিঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে এ ঘটনার বিরুদ্ধে এজাহার দিলে পুলিশ এসে কোনরকম তদন্ত ছাড়াই লাশ কবর দেয়ার হুকুম দেয়। আঠার দিন পর কৃষ্ণদেব গ্রামে ফিরে তিতুমীরের বিরুদ্ধে পুলিশ ফাঁড়িতে এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। জমিদারের অত্যাচারের মাত্রা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। তিতুমীর কলকাতায় আপিল করতে গেলে বিচারকদের নিকট থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন। পার্শ্ববর্তী বশিরহাট থানার দারোগা বামরাস চক্রবর্তী বারাসাতের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও ইংরেজ নীলকর জমিদারদের সহযোগিতায় কৃষ্ণদেব ও অন্যান্য হিন্দু জমিদাররা তিতুমীর ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং জরিমানা ও কর দিতে বাধ্য করতে লাগলো। অযথা হয়রানি, গ্রেফতার, নির্যাতন, মারধর, জরিমানা দেয়া নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা প্রবাহে রূপ নিলো। তিতুমীর আবার কলকাতায় আপীল করতে লোক পাঠালে তাতেও কোন কাজ হয়নি।


ন্যায়বিচারের কোন আশা নেই দেখে ১৮৩১ সালের অক্টোবর মাসে তিতুমীর ও তার অনুসারীরা সম্মুখ সংগ্রামের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেন। তিতুমীরের নির্দেশে নারকেল বাড়িয়ায় কেল্লা স্থাপনের কাজ শুরু হলো। সময়ের স্বল্পতায় ইট পাথর না দিয়ে বাঁশ ও মাটি দ্বারাই কেল্লা নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। তৈরি হলো তিতুমীরের বিখ্যাত বাঁশের কেল্লা। কেল্লার রচনাশৈলী ছিল অপূর্ব শিল্প চাতুর্যময়। কেল্লার ভেতরে অনেকগুলো প্রকোষ্ঠ ছিল। কেল্লার ভেতরে পুরোদমে রণসজ্জার প্রস্তুতি চললো। 

১৮৩১ সালের ৬ নবেম্বর ভোরবেলা প্রায় তিনশত অনুসারী নিয়ে অস্ত্র, লাঠি, বল্লম ও তরবারি দ্বারা সজ্জিত হয়ে তিতুমীর আক্রমণ করলেন জমিদার কৃষ্ণদেবের নিজগ্রাম পুঁড়াতে। খবর পেয়ে কৃষ্ণদেব বন্ধ করে দিলো জমিদার বাড়ির সিংহ দরজা। এর কিছুদিন পর গোবরডাঙ্গার জমিদার কালীপ্রসন্ন ঘোষ, নীল কুঠির ম্যানেজার মিঃ ডেভিসের সাহায্যে তিতুমীরকে আক্রমণ করলে তিতুমীরের লোকজন বীর বিক্রমে যুদ্ধ করে জমিদার ও মিঃ ডেভিসকে পরাজিত করেন। যুদ্ধে জয়লাভ করার পর তিতুমীর নির্দেশ দিলেন জমিদারদেরকে খাজনা না দেয়ার জন্য। নদীয়া ও চবিবশ পরগণার বিরাট এক অংশে তিতুমীর স্থাপন করলেন এক মুক্ত অঞ্চল যেখানে জমিদার বা ইংরেজ শাসন ছিল অচল। সুতরাং যে আন্দোলন ধর্মীয় ও সমাজ সংস্কারের জন্য তৈরি হয়েছিল তা ধীরে ধীরে রাজনৈতিক ও স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নিল।


তিতুমীরের এই শক্তি বৃদ্ধিতে ভীত হয়ে ইংরেজ সরকার কলিকাতা থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আলেকজান্ডারের অধীনে একদল সৈন্য পাঠায়। তিতুমীরকে আক্রমণ করতে তারা নারকেল বাড়িয়ার দিকে অগ্রসর হলে গোলাম মামুনের নেতৃত্বে সম্মুখ যুদ্ধে আলেকজান্ডারের সৈন্যদল ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আলেকজান্ডার কোন প্রকারে পালিয়ে বাঁচে। বশিরহাটের দারোগাকে বন্দী করে হত্যা করা হলো। ইংরেজ কালেকটরকে পরাজিত করে তিতুমীর নিজেকে ঐ এলাকার শাসনকর্তা বলে ঘোষণা করলেন। এই পরাজয়ের খবর কলিকাতায় পৌঁছলে গবর্নর লর্ড বেন্টিংক লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্ট-এর নেতৃত্বে একশ ঘোড়সওয়ার গোরাসৈন্য, তিনশত পদাতিক দেশীয় সৈন্য ও দু'টি কামান ও অজস্র গুলিগোলাসহ তিতুমীর ও তার দলকে পরাভূত করতে পাঠায়। 


১৮৩১ সালের ১৯ নবেম্বর ভোরবেলা ইংরেজ সৈন্যরা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ঘেরাও করে ফেলে। একদিকে সশস্ত্র ইংরেজ বাহিনী আর অপরপক্ষে ঢাল, তলোয়ার, বল্লম, সড়কিদারী বাহিনী। কামানের আঘাতে চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে গেল বাঁশের কেল্লা। গোলার আঘাতে তিতুমীর শাহাদাত বরণ করেন। শহীদ হন আরও কয়েকশত মুসলমান। ইংরেজরা তিতুমীর ও তাঁর নিহত সঙ্গীদের লাশ পুড়িয়ে ফেললো। বন্দীদের নিয়ে যাওয়া হলো কলিকাতায় আলীপুর আদালতে। প্রাথমিক শুনানির পর অভিযুক্ত করা হলো ৩৫০ জনকে। দীর্ঘদিন বিচার চলার পর ১৪০ জনকে কারাদন্ড দেয়া হলো। আর তিতুমীরের প্রধান সেনাপতি গোলাম মামুনকে দেয়া হলো ফাঁসি। 


তিতুমীরের শাহাদাত এখনও প্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে। এটা এক আশ্চর্য ধরনের মিল যে, যেখানে তার ধর্ম ও রাজনৈতিক গুরু ও উপ-মহাদেশের আজাদী সংগ্রামের অগ্রসেনা মাওলানা সাইয়েদ আহম্মদ ব্রেলভী ইংরেজ দালাল রনজিৎ সিং ও অন্যান্য বিশ্বাসঘাতকের হাতে শাহাদাত বরণ করেন, তিতুমীর ও ঠিক ইংরেজ বাহিনীর হাতে একই সালে শাহাদাত বরণ করেন।